দাড়ি বিধান ও মাসায়েল

লেখক: আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
প্রকাশনী: দারুল কারার পাবলিকেশন্স
বিষয়: ফিকাহ ও ফতওয়া
পৃষ্ঠা: 64
কভার: পেপার ব্যাক
সংস্করণ: 1st Published, 2023

ভাষা: বাংলা 

দাড়ি লম্বা রাখা এবং ছোট রাখার নির্দেশনা ইসলামে দাড়ি রাখা পুরুষদের জন্য সুন্নাহ এবং এটি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা। তিনি বলেন, “দাড়ি লম্বা করো এবং গোঁফ ছোট করো” (সহীহ বুখারী, ৫৮৯২)। এটি শুধু ব্যক্তিগত সৌন্দর্যের জন্য নয়, বরং এটি ইসলামী আদর্শ বজায় রাখার নির্দেশনা। দাড়ি রাখা ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তা ও পরিচয়ের প্রকাশ ঘটায়। ইসলামে দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক না হলেও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ, যা মুসলিমদের আলাদা পরিচয় দেয়।

আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন নিষিদ্ধ কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তারা আল্লাহর সৃষ্টিতে কোনো পরিবর্তন করবে না” (সূরা আন-নিসা: ১১৯)। দাড়ি আল্লাহ প্রদত্ত একটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য। দাড়ি কেটে ফেলা বা অত্যধিক ছোট করা আল্লাহর সৃষ্টির সঙ্গে হস্তক্ষেপের শামিল হতে পারে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করাই ইসলামের একটি বড় শিক্ষা।

দাড়ির পরিমাণ দাড়ি কতটুকু লম্বা রাখা উচিত সে বিষয়ে ইসলামিক ফুকাহাদের ভিন্নমত রয়েছে। সাধারণত, এক মুষ্টি পরিমাণ দাড়ি রাখা সুন্নাহ হিসেবে বিবেচিত। এক মুষ্টির বেশি হলে তা ছেঁটে ফেলা জায়েজ। তবে, একেবারে ছোট বা শেভ করা সুন্নাহবিরোধী। এটি ইসলামের প্রাথমিক যুগের সাহাবাদের অনুসরণেও স্পষ্ট।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে দাড়ি রাখার উপকারিতা বিজ্ঞানীরা দাড়ি রাখার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করেছেন। দাড়ি সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে মুখমণ্ডলকে রক্ষা করে। এটি ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। দাড়ি মুখের ত্বককে ধুলাবালি ও দূষণ থেকে রক্ষা করে এবং ময়েশ্চার ধরে রাখে। অন্যদিকে, দাড়ি কামানোর সময় ছোট ছোট ক্ষত সৃষ্টি হয় যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

দাড়ি রাখার উপকারিতা এবং সুন্নাহ পালন দাড়ি রাখা রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নাহ এবং এটি মুসলিমদের জন্য এক বিশেষ সনাক্তকারী চিহ্ন। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে দাড়ি লম্বা রাখতেন এবং তাঁর সাহাবারা এতে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। দাড়ি রাখার মাধ্যমে একজন মুসলিম রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ পালন করেন এবং আধ্যাত্মিকভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের পথে এগিয়ে যান।